Logo

আন্তর্জাতিক    >>   রুশ ভূখণ্ডে মার্কিন মিসাইল পড়লে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর হুমকি : আন্দ্রেই ক্লিসাস

রুশ ভূখণ্ডে মার্কিন মিসাইল পড়লে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর হুমকি : আন্দ্রেই ক্লিসাস

রুশ ভূখণ্ডে মার্কিন মিসাইল পড়লে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর হুমকি : আন্দ্রেই ক্লিসাস

যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা আরও প্রবল হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন রাশিয়ার শীর্ষ আইনপ্রণেতারা। রোববার (১৭ নভেম্বর) এই বিষয়ে দুটি মার্কিন সূত্র এবং কর্মকর্তারা জানান, বাইডেনের এই পদক্ষেপ ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের গতিপথে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ, ফেডারেশন কাউন্সিলের সদস্য আন্দ্রেই ক্লিশাস এই সিদ্ধান্তের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছেন, “পশ্চিমারা উত্তেজনা এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, এটি এক রাতের মধ্যে ইউক্রেন রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ ধ্বংস ডেকে আনতে পারে।” তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন যদি যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া দূরপাল্লার মিসাইল ব্যবহার করে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায়, তাহলে রাশিয়া দ্রুত ও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং এটির ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে।

এদিকে, রাশিয়ার পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি ভ্লাদিমির জাবারভ জানিয়েছেন, মস্কো দ্রুত পাল্টা হামলা চালাবে এবং এর ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠবে। তিনি রাশিয়ার শীর্ষ নেতা, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পূর্ববর্তী সতর্কবাণী উল্লেখ করে বলেন, “এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হতে পারে।” পুতিন এর আগেও সতর্ক করেছিলেন যে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অর্থ হবে ন্যাটো সামরিক জোটের সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া। তিনি বলেছিলেন, রাশিয়া এই ধরনের হুমকির প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘এটিএসিএমএস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চাচ্ছিলেন। তার দাবি ছিল, এই মিসাইল ব্যবহার করে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানো হবে। রবিবার, জেলেনস্কি এই বিষয়ে বলেছেন, “এ ধরনের অভিযান ঘোষণা করে শুরু করা হয় না। যখন প্রয়োজন হয়, তখন ক্ষেপণাস্ত্রই কথা বলবে।” এরই মধ্যে, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে পূর্বে আক্রমণ পরিচালনার জন্য পশ্চিমা শক্তির কাছে সহায়তা চাওয়া হলেও, বাইডেন প্রশাসন এই চাহিদা পূরণ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এটিএসিএমএস মিসাইলগুলি ১৯০ মাইল (৩০৬ কিলোমিটার) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, যা ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলা চালানোর সক্ষমতা প্রদান করবে। কিছু মার্কিন কর্মকর্তা মনে করছেন, ইউক্রেন যদি রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায়, তবে সেটি যুদ্ধের গতিপথে বিশাল পরিবর্তন আনবে এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের মাত্রা বাড়াতে পারে।

অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেপ্টেম্বর মাসে এই ধরনের হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, “যদি পশ্চিমারা ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করতে দেয়, তাহলে এটি সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মতো।” তিনি আরও জানিয়েছেন যে, রাশিয়া এ ধরনের পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ‘যথাযথ’ পাল্টা পদক্ষেপ নেবে। পুতিনের ভাষায়, “পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ কোনও দেশের মিসাইল দিয়ে ইউক্রেন যদি রাশিয়ায় হামলা চালায়, তাহলে রাশিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে।”

এখন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির পর, ইউক্রেন যদি রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায়, তাহলে রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ নেতারা এখন এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর মনোযোগ দিচ্ছেন এবং আন্তর্জাতিক মহল এর প্রভাব বিশ্লেষণ করছে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert